সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম:
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণ হলেই চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক গুলোতে সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতার। এ বর্ষা শেষ হলেই দেখা যায় চট্টগ্রাম নগরীতে সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এলাকার সড়ক গুলোর বেহাল চিত্র। চলতি মৌসুমেও দেখা গেছে একাই চিত্র। চসিক সূত্র জানায়, এবারের বৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে ৪০ কিলোমিটার সড়ক ব্যপক ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে, যা মেরামতে ব্যয় হতে পারে কমপক্ষে ১শ’ কোটি টাকা।
সরেজমিন দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসহ বেশিরভাগ সড়কে গর্তের সৃস্টি হয়েছে। সড়ক থেকে বিটুমিন উঠে গিয়ে ধুয়েমুছে গেছে। হালিশহর, নয়াবাজার বিশ্বরোড, ফ্রি-পোর্ট, বারেক বিল্ডিং এলাকার সড়কগুলোর ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আগ্রাবাদ চৌমুহনী থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত সড়কের বেহাল চিত্র দেখা গেছে। সল্টগোলা ক্রসিং থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত সড়কেও অবস্থাও বেশ খারাপ।
এদিকে মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন সড়কের বিভিন্ন অংশের কার্পেট উঠে গেছে। সদরঘাট থেকে মাঝিরঘাট হয়ে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত, মনসুরাবাদ থেকে পাহাড়তলী পর্যন্ত সড়কে বড় বড় গর্ত দেখা গেছে। তাছাড়া বাকলিয়া এলাকার বেশির ভাগ অলিগলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
চসিক মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘নগরীর অধিকাংশ প্রধান সড়ক এবং অলিগলিতে পানি জমার কারণে সড়কগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছে। সিডিএ’কে বার বার অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন খালের বাঁধ কেটে দেয়। তারা কিছু বাঁধ কেটেছেও। তবে যেখানে কেটেছে সেখানে পলিথিন আটকে পানি নিষ্কাশন এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে খাল পানিতে পরিপূর্ণ না হলেও নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকছে।’
সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে গর্ত ভরাটের কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, ‘বিটুমিন এবং পানির সম্পর্ক চরম শত্রুর মত। বিটুমিন পানি সহ্য করতে পারে না। সড়কে পানি জমে থাকলে বিটুমিন সহজেই উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এই জলাবদ্ধতা নগরীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।’
ভয়েস/আআ